বঙ্গনুর ওয়েব নিউজ ; শুভেন্দুর খাস তালুকে দাঁড়িয়ে সোমবার মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রাম থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ময়দানে নেমে পড়লেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূল সুপ্রিমোর নামে দেওয়াল লিখল শুরু হয়ে গেল। নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি এলাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু কেন্দেমারি নয়, নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তৎপরতার সঙ্গে চলছে কাজ।
বিধানসভা ভোটের এখনও বাকি মাসখানেক। যদিও বাংলায় বেজে গিয়েছে ভোটের বাদ্যি। রীতিমত ময়দানে নেমে পড়েছে ডান-বাম সমস্ত রাজনৈতিকদলগুলি। জোর টক্কর চলছে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যেও। একই সঙ্গে চলছে ঘর গোছানোর পালাও। গত কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। আর সেই নন্দীগ্রামে সোমবার পা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে মমতা স্পষ্টভাষায় বলেন, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে তিনি বলবেন যাতে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নামটা রাখা হয়। নন্দীগ্রামের মানুষের মধ্যে থেকে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন মমতা। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে একাত্মতার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ভালবাসার টানে আর নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলাম না।”
স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ঘোষণার পরই গুঞ্জন শুরু হয়। এই সিদ্ধান্ত সঠিক কি না, তা নিয়ে নানা মন্তব্য করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে সভা থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বলেন, “তৃণমূল একটা কোম্পানি। ওঁরা কোনও সভা থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতেই পারে। কিন্তু বিজেপি ওভাবে কিছু করবে না। তবে মাননীয়াকে নন্দীগ্রামে কম করে ৫০ হাজার ভোটে হারাব। নাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
এদিকে, রাজনৈতিক মহলের মতে, নন্দীগ্রাম মমতার কাছে খুব লাকি। গত বিধানসভা ভোটের প্রচার পর্ব শুরু করেছিলেন এখান থেকে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রাম আসনের প্রার্থী হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করেছিলেন। এবার তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে নিজের নাম আগেই ঘোষণা করেছেন। যদিও BJP ইতিমধ্যেই প্রচার চালাতে শুরু করেছে, ভবানীপুরে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন মমতা। নিরাপদ আসন খুঁজছেন তিনি।
যদিও তৃণমূল নেতারা এই দাবি কার্যত নসাৎ করে দিয়েছে। আর তৃণমূল কর্মীরা নেত্রীকে নন্দীগ্রাম থেকে জেতানোর পাশাপাশি তাঁকে ফের বাংলার মসনদে বসাতে শপথ নিয়েছেন। তাঁদের উচ্ছাস ধরা দিল এদিনের দেওয়াল লিখন থেকেই।
1,352 total views, 3 views today